শালা আমি তো অবাক!

Bong Script

image

কবি- অবাক মোহন গাঙ্গুলি

নিশিরাতে জেগে দেখি…
গাছের ডালে কাক,
শালা আমিতো অবাক!!

চোর ঢুকেছে ঘরের ভেতর…
দরজা ছিলো ফাঁক?
শালা আমিতো অবাক!!

মোবাইল নিলো,টিভি নিলো,
রিমোট না হয় থাক?
শালা আমিতো অবাক!!

পাচ্ছে যা তা নিচ্ছে ভরে, দুই হাতেরই
মুঠোয় করে, চোরটা তো নির্বাক,
শালা আমিতো অবাক!!

সব মালামাল বস্তা ভরে,
চোরপালালো চুরি করে,
যাক না চলে যাক,
শালা আমিতো অবাক!!

মধ্যরাতে অন্ধকারে,
কুত্তা ডাকে জোরে জোরে,
শিয়ালরা দেয হাক?
শালা আমিতো অবাক!!

ভয়ে শরীর শিউরে ওঠে,
না জানি আজ কি যে ঘটে?
আবার ডাকে কাক?
শালা আমিতো অবাক!!

হয়নি রাতে তেমন কিছু,
কোন ভূতই নেয়নি পিছু,
বেঁচে গেছি যাক……
শালা আমিতো অবাক!

সকালে দেখি পুরো পাড়া, মারছে সবাই
বেরেক ছাড়া, মানুষ যে ঝাঁক ঝাঁক!
শালা আমিতো অবাক!!

দেখলাম আমি মারছে তারা,
চোরটা নাকি পড়ছে ধরা..
চোরের মাথায় টাক!!

শালা এবারতো আমি পুরাই অবাক!!

View original post

রেসিপিঃ তেলাপিয়া ও আলু ঝোল রান্না

আমার পছন্দের একটা অসাধারন রেসেপি!
আমি হলাম মাছে-ভাতে বাঙ্গালী….. 🙂

🍹 🍽 🥘 [গল্প ও রান্না - Story & Recipe - 故事和食谱] 🍳 🍲 🍵

আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত ও গরীব পরিবার গুলোর নিয়মিত রান্না কেমন হয়? ফুটপাতে সংসার করা এমন একটা পরিবারের রান্না দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। রাজধানীর কাঁটাবন এলাকার এক ফুটপাতে আমি যাত্রী ছাউনিতে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং পাশেই রান্না করছিলেন এক বোন। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, এই ফুটপাতেই তিনি থাকেন, রাতে ঘুমান, রান্না করেন, ছোট একটা বাচ্চা ও স্বামী নিয়ে। আমি তার রান্না দেখছিলাম এবং আমাদের সাধারন রান্নার কথা ভাবছিলাম।

আমি খুব মনোযোগ দিয়ে তার ছোট হাড়িটা দেখছিলাম। পরিস্কার মনে আছে, তিনি রান্না করছিলেন, তেলাপিয়া মাছ আলু দিয়ে। তার সেই রান্নার রং এখনো আমার চোখের সামনে ভাসছে।

আমাদের বাসায় (নিজকে কোন দলে ফেলবো ভেবে পাই না!) এমন রান্না হয়, আমি নিজেও এমন রান্না করি। আমি ছাত্রবস্থা থেকে অনেক বন্ধুর বাড়ী/বাসায় খেয়েছি, এমন রান্নাই আমাদের সর্বত্র, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারে তো সব সময়েই।

চলুন, কথা না বলে রান্না দেখি। তেলাপিয়া ও আলুঝোল রান্না।

প্রনালীঃ  (ছবি দেখেই বুঝতে পারবেন বলে আশা করছি, ছবি কথা…

View original post 45 more words

তথ্যঃ বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ!

সংগ্রহে রাখার মতো একটা প্রয়োজনীয় পোস্ট।

🍹 🍽 🥘 [গল্প ও রান্না - Story & Recipe - 故事和食谱] 🍳 🍲 🍵

(আসুন বাংলা ব্য্যকরণের একটা অধ্যায় পড়ি! তা হল, ‘বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ’! বাংলা ভাষার এক চমৎকার অধ্যায়। ভাষার উপর জ্ঞান বাড়াতে বা মনের ভাব প্রকাশে এই বাক্য সংকোচন অত্যান্ত কার্যকর। সময় থাকলে পড়ে নিতে পারেন, আনন্দ পাবেন নিশ্চিত, পাশাপাশি একবার পড়াশুনা ঝালাই করে নিন!)😍

একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে। অর্থাৎ একটিমাত্র শব্দ দিয়ে যখন একাধিক পদ বা একটি বাক্যাংশের (উপবাক্য) অর্থ প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য সংকোচন বলে ।
যেমন- হীরক দেশের রাজা- হীরকরাজ
এখানে হীরকরাজ- শব্দের মাধ্যমে হীরক দেশের রাজা- এই তিনটি পদের অর্থই সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এই তিনটি পদ একত্রে একটি বাক্যাংশ বা উপবাক্যও বটে । অর্থাৎ, হীরক দেশের রাজা- তিনটি পদ বা বাক্যাংশটির বাক্য সংকোচন হল- হীরকরাজ ।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশঃ
অকালে পেকেছে যে- অকালপক্ক্ব
অক্ষির সম্মুখে বর্তমান- প্রত্যক্ষ
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার- অনভিজ্ঞ
অহংকার নেই যার-…

View original post 1,014 more words

তথ্যঃ আর্থিক স্বচ্ছল হবার সামান্য কলা কৌশল

একটি উৎসাহমুলক পোস্ট: নিজেকে উন্নয়ন করার প্রচেস্টা।

🍹 🍽 🥘 [গল্প ও রান্না - Story & Recipe - 故事和食谱] 🍳 🍲 🍵

অনেকে আমাকে ধনী হবার কিছু টিপস দেয়ার কথা বলেছেন, ইনবক্সে কয়েকজন তরুন জানতে চাইছেন, কি করলে বেশী অর্থ উপার্জন করা বা ধনী হওয়া যাবে। আমি তেমন ধনী না, উপদেশ দেয়ার যোগ্য নই, তবে জীবনের প্রায় সব ঘাট পার করে আসা লোক, অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক কিছু দেখেছি, কাছ থেকে অনেক ধনী দরিদ্র মানুষ দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে। বড় লেখা বা বই লেখা যায় এই বিষয়ে, তবে এত এত কথা পড়ার সময় এখন আর কারোই নেই, ফলে মাত্র ৪টা পয়েন্ট সংক্ষেপে তুলে ধরছি, মিলিয়ে নিতে পারেন!

১। পেশা নির্বাচন – লেখা পড়া শেষে বা জীবনের শুরুর পর্যায়েই খেয়াল করতে হবে, কি কি পেশায় বেশি টাকা উপার্জন সম্ভব এবং সেই পেশাই নির্বাচন করতে হবে। কিছু পেশা আছে যা নির্বাচন করলে ধনী হবার কথা চিন্তাই করা যায় না বা ধনী হলেও সমাজের চোখে খারাপ দেখায়। পেশা বা কর্ম হিসাবে ধনী হতে চাইলে ব্যবসাই উত্তম, জীবনের শুরুতে কারো সাথে শিখে বা একক চিন্তায় যে কোন ব্যবসা…

View original post 209 more words

তথ্যঃ যে কোন মূল্যে মঞ্চের কাজ দেখুন, সরাসরি (মঞ্চ নাটক সমাজের দর্পন)

Stage Show & Stage Performance always attract me.
Thanks for sharing.

🍹 🍽 🥘 [গল্প ও রান্না - Story & Recipe - 故事和食谱] 🍳 🍲 🍵

মঞ্চের কাজ আমাকে সব সময়েই টানে। সরাসরি বসে যে কোন মঞ্চের কাজ দেখতে ভাল লাগে, নাটক, নৃত্য গীত সবই! আমি মনে করি মঞ্চের এই কাজ গুলো মানুষের বিবেকের বিনোদনের প্রধান উৎস, অথচ আজকাল মানুষের এই বিষয়ে আর নজর নেই, মানুষ এখন এই বিনোদনে সময় ও অর্থের অপচয় মনে করে। বলতে লজ্জা নেই, আমাদের দেশের মানুষের এই অবস্থা ছিলো না, গত ৩০ বছরে আমাদের দেশের মানুষ বিচারহীনতায় ভুগে ভুগে এই পর্যায়ে এসেছে বলে আমি মনে করি, সাধারন মানুষের কাছে এখন টাকাই সব, কারন মানুষ বুঝে গেছে টাকা থাকলে সে যে কোন অকাজ করে বেঁচে যেতে পারে এবং যায়। মঞ্চের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার এই হীনতা আমাদের ভাবিয়ে তোলে, যদিও আমি এর দায় সাধারন মানুষকে দিতে চাই না, এর দায় আমাদের সরকারকেই নিতে হয়, তাদের সুযোগ্য শাসন না থাকায় মানুষ কুপথে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে বা হচ্ছে। গত তিন বছরে বা করোনা পূর্ব সময়ে সরকারের কোন প্রধান ব্যক্তি মঞ্চে কিছু দেখেছেন এবং…

View original post 622 more words

বাংলাদেশে স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মধ্যে ৪০ শতাংশের নানারকম দৃষ্টি সমস্যা রয়েছে।

শিশুর চোখ

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকায় স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মধ্যে ৪০ শতাংশের নানারকম দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে।

ঢাকা, বরিশাল, নওগাঁ ও জামালপুরে প্রায় ৩৩ হাজার স্কুল পড়ুয়া শিশুর চোখ পরীক্ষা করে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের একদল চিকিৎসক।

২০১৯ সালের মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত নার্সারি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চোখ পরীক্ষা করেছেন তারা।

গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকায় স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মধ্যে ৪০ শতাংশের দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে।

চারটি জেলায় করা পরীক্ষায় পাওয়া উপাত্তের ভিত্তিতে সারা বাংলাদেশের একটি চিত্র বের করার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা।

যার ফল অনুযায়ী সারা দেশে শতকরা ১৪ ভাগ শিশুর দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে।

শিশুদের চোখের সমস্যা যেভাবে বুঝবেন:~

শিশু দৃষ্টি বিষয়ে একটি সমস্যা হচ্ছে একটি বয়স পর্যন্ত শিশুর বোঝার ক্ষমতা নেই যে সে কম দেখছে কিনা।

শিশুরা তাদের অনেক শারীরিক সমস্যা বলে বোঝাতে পারে না। সেজন্য তাদের সমস্যা সময়মত চিহ্নিত হয় না বা কখনো একেবারেই হয় না।

অনেক ছোট লক্ষণ প্রায়শই নানাবিধ শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

এই গবেষণায় গবেষক দলের প্রধান ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের শিশু চক্ষুরোগ ও স্কুইন্ট বিভাগের প্রধান ডা. মো. মোস্তফা হোসেন।

তিনি বলছেন, অভিভাবকেরা কিছু বিষয় নজরে রাখতে পারেন যার মাধ্যমে শিশুর চোখে কোন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে বলে তারা ধারণা পেতে পারেন।

যার ফলে সন্দেহের ভিত্তিতে অভিভাবক তার সন্তানকে নিয়ে অনেক আগেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন।

শিশুর চোখের প্রতিক্রিয়া:~

ছোট এসব লক্ষণগুলো কী হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়ে ডা. হোসেন বলছেন, “যদি একদম ছোট শিশু হয়, দেখবেন একদম কোলের শিশু দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের মুখের দিকে তাকায়, এমনিও তাকায়। সামনে যেকোনো বস্তু বা লাইট ধরলে সে সেদিকে তাকায়। অভিভাবকদের খেয়াল করতে হবে শিশু এসব দিকে তাকাচ্ছে কিনা। যদি শিশুর চোখ এসব দিকে না যায় তাহলে অভিভাবকদের সন্দেহ করতে হবে এবং ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে।”

বাঁকা বা ট্যারা চোখ এবং চোখের আকার:~

দুটি চোখের দৃষ্টি যদি দুইদিকে থাকে তাহলে বাংলাদেশে সেটিকে ‘ট্যারা’ বলা হয়।

এই সমস্যাটি অল্প মাত্রায় হলে তাকে লক্ষীট্যারা বলে হয়ে থাকে। ডা. হোসেন বলছেন, অনেক সময় দৃষ্টিত্রুটির কারণে চোখ বাঁকা হতে পারে, আবার চোখ বাঁকা হওয়ার কারণে দৃষ্টিত্রুটি হতে পারে।

তিনি বলছেন, “চোখের আকারও একটি বিষয়। জন্মের পর থেকে দশ বছর পর্যন্ত শিশুর আইবল বৃদ্ধি পায়। চোখ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হয় তাহলে হাইপারোপিয়া হতে পারে অর্থাৎ কাছে দেখতে সমস্যা হবে। আর চোখ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয় তাহলে মাইওপিয়া হতে পারে অর্থাৎ দূরের বস্তু ঝাপসা লাগবে,” বলছেন ডা. হোসেন।

যেসব বিষয় নজরে রাখতে হবে:~

স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদেরও অনেক বিষয়ে কিছুটা খেয়াল করলে তার চোখে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা সেটার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

ডা. মো. মোস্তফা হোসেন বলছেন, “দেখা যাবে স্কুল পড়ুয়া শিশুরা ব্লাকবোর্ডে লেখা অনেক কিছু ঠিক মতো খাতায় তুলতে পারছে না। কিছু লেখা হয়ত বাদ পড়ে যাচ্ছে। কেন সে খাতায় অনেক কিছু তুলতে পারেনি তার একটি কারণ হতে পারে তার দৃষ্টিত্রুটি।”

ছয় মিটার দূর থেকে ব্লাকবোর্ডের লেখা পড়তে পারার কথা। ক্লাসের পেছনে বসা শিশুদের কারো যদি নিয়মিত কিছু মিস হয় তাহলে সেটি চোখের সমস্যা কিনা বিবেচনা করতে হবে।

আর একটি লক্ষ করার বিষয় হল কিছু পড়তে গেলে শিশু চোখ কুঁচকে দেখার চেষ্টা করছে কিনা। অনেক সময় স্কুলের শিক্ষকের নজরেও পড়তে পারে এসব সমস্যা।

যেসব কারণে শিশুদের চোখের সমস্যা হচ্ছে:~

ঢাকায় শিশুদের বাইরে যাওয়া ও খেলাধুলার সুযোগ খুবই কম। বাইরে কম গেলে তাতে চোখের দৃষ্টি প্রভাবিত হতে পারে।

খুব বেশি সময় ঘরের ভেতরে থাকলে অনেক বেশি কাছের বস্তু দেখা হয়। দৃষ্টি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এতে ‘নিয়ার ভিশনে’ চাপ পড়ে।

ঘরের মধ্যে খুব বেশি সময় কাটালে মাইওপিয়া হতে পারে। একটি প্রধান কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন অথবা অন্য ডিভাইস নির্ভরতা।

চেয়ার টেবিলে বসে পড়াশুনা করা জরুরি।

কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থেকে এক ধরনের নীল আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। খুব কাছে থেকে নিয়মিত দীর্ঘ সময় নীল উজ্জ্বল আলোর ডিভাইস স্ক্রিন চোখের উপর চাপ সৃষ্টি করে যা দীর্ঘমেয়াদে চোখের ক্ষতি করে।

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ রয়েছে। এতে শিশুদের অনেক বেশি ডিভাইস নির্ভরতা বেড়েছে। সেটি পড়াশুনা এবং বিনোদন দুটো কারণেই।

চোখে কোন অসুখের কারণে দৃষ্টিশক্তি প্রভাবিত হতে পারে।

অভিভাবকরা যা করতে পারেন:~

ডিভাইস ব্যাবহার কমিয়ে আনা। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ জাতীয় ডিভাইস শিশুদের বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

যদি অনেকক্ষণ তা ব্যবহার করতেই হয় সে ক্ষেত্রে একটি ব্যায়াম করা যেতে পারে।

শুয়ে, অল্প আলোতে, চোখের বেশি কাছে রেখে বই পড়া নয়।

ডিভাইস ব্যবহার বা বই পড়ার প্রতি ২০ মিনিট পরে ২০ সেকেন্ড ধরে ২০ ফিট দূরের কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকা।

সেটি সবুজ গাছ বা ঘাস হলে সবচেয়ে ভাল। সবুজ গাছে বা ঘাসের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের উপকার হয়।

খুব বেশি সময় বই বা কম্পিউটারে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক কমতে থাকে। তাতে চোখের পানি শুকিয়ে যেতে থাকে।

শিশুদের চোখের পলক ফেলতে মনে করিয়ে দিতে হবে। মাঝে মাঝে চোখে পানি দিতে পারেন।

ভিটামিন এ রয়েছে এমন খাবার খাওয়াতে হবে শিশুদের। এটি চোখের অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশুনায় ডিভাইস নির্ভরতা বেড়েছে।

সোফায়, বিছানায় বিভিন্নভাবে চিৎ, কাৎ, উপুড় হয়ে পড়ালেখা করা যাবে না। চেয়ার টেবিলে বসে পড়াশুনা করতে হবে।

চোখ থেকে বইয়ের অবস্থান এক থেকে দেড় ফিট দূরে হতে হবে।

টেবিল থেকে লাইট কত দূরে, তার আলো কোন দিক থেকে পড়ার টেবিলে আসছে সেটিও একটি বিষয়। পড়ার জন্য ঘরে আলো সঠিক হতে হবে।

বাইরে যাওয়া ও খেলাধুলা বাড়াতে হবে। মাঠে খেলতে না পারলেও বাড়ির ছাদে গেলেও তা বাইরে যাওয়ার যা উপকার তার কিছুটা পাওয়া যাবে।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শিশুর চোখে কোন সমস্যা থাকুক বা না থাকুক তার চোখ পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই ভালো কারণ অনেক সময় উপসর্গ বোঝা যায় না।

নিয়মিত চোখের পরীক্ষা জরুরি:~

অভিভাবক কোন সমস্যা বুঝতে না পারলেও অন্তত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কারণে হয়ত সময়মত সমস্যা চিহ্নিত হবে।

ডা. হোসেন মনে করেন সারা বছরজুড়ে স্কুলেই চোখ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিৎ।

তিনি বলছেন, “কম বয়সে দৃষ্টিত্রুটি থাকলে সেটি পরের দিকে আর চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না, যে কারণে ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত স্ক্রিনিং জরুরি।”

Source:: _________________________________________________________________
শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি: অভিভাবকরা যেভাবে বুঝবেন, যা করতে পারেন
শাহনাজ পারভীন
বিবিসি বাংলা, ঢাকা

বই: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সুন্দরবনে সাত বৎসর’

Site Title

sundor.jpg
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার খুব পছন্দের একজন লেখক। চাঁদের পাহাড়, আরণ্যক, অশনি সংকেত, ইছামতি, পথের পাচালি, অপুর সংসার, অপরাজিতাসহ তার আরও অনেক লেখা পড়ে প্রচণ্ড মুগ্ধ হয়েছি। তাই খুব আগ্রহ নিয়ে তার লেখা ‘সুন্দরবনে সাত বৎসর’ বইটা গত বইমেলায় দেখে চোখ বুজে কিনে ফেলেছিলাম।

গতকাল বইটা শেষ করলাম। সত্যি কথা বলতে কি, একদম ভালো লাগেনি। লেখকের এতে কোনো হাত নেই, সমস্যাটা আমারই। বইটা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাচ্চাদের জন্য লিখেছেন। সেটাও সমস্যা না। সমস্যা হলো, এই সাহিত্যিকের অন্যান্য লেখাগুলোতে যে সাহিত্যসুধার স্বাদ আমি ইতোপূর্বে পেয়েছি, এই লেখায় তার ছিটেফোঁটাও পাইনি। অবশ্য এই উপন্যাসের শুরুটা অন্য কেউ করেছিলেন বলে জেনেছি এবং বিভূতিভূষণের ওপর শেষাংশ নির্মাণের ভার পড়েছিল।

সাদামাটা একটা গল্প। অনেকটা ডিসকভারি চ্যানেলের ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ডের ব্রেয়ার গ্রেইলসের বনে-বাদারে ঘুরে আবার যথাস্থানে ফিরে আসার মতো। গল্পটার সার- সংক্ষেপ বলি।

মাঘ মাসে মকর- সংক্রান্তিতে সাগর-দ্বীপ নামক স্থানে গঙ্গাস্নান বা তীর্থ করতে আসা অনেক মানুষের সাথে দাদামহাশয়ের সাথে ১৩ বছরের এক বালক আসে। ঘটনাক্রমে বালকটি আরাকান…

View original post 185 more words

~`,;{ বাবা-মায়ের ভালোবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা };,`~

*

বাসায় যখন মাংস রান্না হয়, সাথে আলু দেয় মা ।
মাংসের তরকারি বৃদ্ধির জন্যও আলু দেওয়া হয়। সকলে যেন একটু একটু করে খেতে পারে।

বাবা হওয়ার আগে যখন আলু দিয়ে মাংস রান্না হতো, তখন আমরা বেছে মাংস গুলো নিতাম। আর আলু গুলো অন্যদের জন্য রেখে দিতাম।

কিন্তু বাবা হওয়ার পর যখন বুঝতে পারলাম,আমার সন্তানরা মাংস বেশি পছন্দ করে এবং আলু গুলো রেখে মাংস গুলো বেশি বেশি নেয়! তখন থেকেই আমি মাংস নেওয়া কমিয়ে দিয়ে আলু গুলো নেওয়া শুরু করলাম।

এখন সন্তানরা জিজ্ঞেস করে, বাবা মাংস নেও না কেন?
তখন বলি,আমার মাংসের চেয়ে আলু গুলোই বেশি পছন্দ! তোমরা নাও।

পিতা-পুত্রের এই লুকোচুরি খেলা সেই আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে। আমার পিতাও আমার সাথে একই আচরণ করেছিলেন। সেদিন ভেবেছিলাম, তার নিকট হয়তো আলু গুলোই বেশি পছন্দ।
কিন্তু আজ বুঝতে পারছি, আমার নিকট যে কারনে আলু গুলো পছন্দ, তার নিকটও সেই একই কারনে সেটা পছন্দ ছিল

বাবা-মাকে অনেক বেশি ভালোবাসুন। তাদেরকে কখনও অবজ্ঞা কিংবা অবহেলা করবেন না।।

(কালেক্টেড)

|| ছিরু মোল্লার দৌড় ও সাম্যবাদী করোনার মুভমেন্ট পাস ||

|| ছিরু মোল্লার দৌড় ও সাম্যবাদী করোনার মুভমেন্ট পাস ||

*

ফাঁকা মাঠে ছিরু মোল্লা দৌড়াচ্ছে। কঠিন দৌড়। নিজের জমির ধান দেখতে গিয়েছিল সে। এর মধ্যে ঝড় উঠেছে। আশপাশে আশ্রয় নেওয়ার মতো ঘরবাড়ি নেই। এক কিলোমিটার দৌড়ে মাঠ পার হলে ঘরবাড়ি। বাতাসের প্রচণ্ড ঝাপটা ছিরু মোল্লাকে উড়িয়ে নিতে চাইছে। সে বারবার পড়ে যাচ্ছে। উঠে আবার দৌড়াচ্ছে। একসময় দুর্বল হয়ে সে বসে পড়ল। সিদ্ধান্ত নিল আর দৌড়াবে না, এখানেই বসে থাকবে। ঝঞ্ঝার মধ্যে সে মনে মনে বলতে লাগল, ‘যারে ধইরে রাখার জন্যি দৌড়াইতিছি, দৌড়ের কারণে সে-ই যদি বাইর হয়ে যায়, তাইলে আর দৌড়ায়া কী লাভ?’

করোনায় পাবলিকের দশা হয়েছে ছিরু মোল্লার মতো। শপিং মলের বড় ব্যবসায়ী, কমিউনিটি সেন্টার কিংবা বড় বড় হোটেলের মালিক থেকে শুরু করে দিনমজুরেরা করোনা থেকে বাঁচতে ঘরে থাকার ‘দৌড়ে’ হাঁপিয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে দিনমজুরদের আক্ষরিক অর্থেই না খেয়ে মরার দশা হয়েছে। তাঁদের চিন্তাভাবনা এখন ছিরু মোল্লার মতো। যেমনটা বলছিলেন রিকশাচালক আক্কু মিয়া, ‘করোনার ভয়েতে জান বাঁচানোর জন্যি সব বন্ধ কইরে ঘরে বসে আছি, সেই জানই যদি খিদের ঠেলায় বাইর হয়া যায়, তাইলে আর ঘরে থাইকা কী লাভ। আর ঘরে থাকলিই যে করোনা আমারে ধরবে না, সে গ্যারান্টি দিচ্ছে কেডা?’

আক্কু মিয়ার কথা মিথ্যা না। কে সংক্রমিত হবে আর কে হবে না—এখন আর এই কথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারছে না। পাঁচতলা থেকে গাছতলা—সবখানে করোনা সমান গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গরিব-বড়লোক, এসি-ননএসি মানছে না। এই সাম্যবাদী মহামারিকে বৈষম্যের লকডাউন দিয়ে তালাবন্দী করা কঠিন।

রাস্তায় প্রাইভেট কার চলতে পারবে, আকাশে বিমান উড়লে ক্ষতি হবে না, ব্যাংকে গিয়ে লোকজন টাকা তুলতে পারবে, কিন্তু রিকশা চললে উপুড় করে রাখা হবে—এমন বৈষম্য সবার চোখেই কেমন-কেমন লাগে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ২৫ এপ্রিল থেকে মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু মার্কেটে যাঁরা আসবেন, তাঁদের চলাচলে যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তাতে ক্রেতার তালিকায় সমাজের সেই সুবিধাপ্রাপ্তরাই থাকবেন। মাটিবর্তী মানুষকে মাটিতেই থাকতে হবে।

কয়েকটি জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ছাড়া সাধারণ সবাইকে জরুরি কাজে বাইরে যাওয়ার জন্য পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিতে বলা হয়েছে।

কথা হলো মুভমেন্ট পাস পাওয়া লোকের বাইরে এমন মানুষ আছেন, যাঁর হাতে স্মার্টফোন নেই, ইন্টারনেটের নাম যিনি শোনেনওনি। সেই লোককেও জরুরি কাজে বাইরে যেতে হবে। তখন তাঁকে তো পুলিশের জেরায় জেরবার হতে হবে। তার মানে প্রাইভেট কারকে ছেড়ে দিয়ে রিকশাকে আটকে রাখার মতো এখানেও ‘প্রযুক্তিমনস্ক’ লোকদের চলাচল ঠিক রেখে সেই গরিব মানুষেরই নির্বিঘ্ন হাঁটাচলা বন্ধের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

অফিসে না গিয়েও মাস শেষে পুরো বেতনের নিশ্চয়তা পাওয়া সরকারি চাকুরেদের ‘লকডাউন’ শব্দটা ঘরের মধ্যে বনভোজনের অনুভূতি দিতে পারে। কিন্তু দিনমজুর ও ব্যবসায়ীদের কাছে তা বিষাক্ত মারণাস্ত্র। এ কারণে লুকোচুরির মুভমেন্ট পাস তুলে দেওয়াই ভালো

২.
করোনাভাইরাস ফুসফুসে চট করে ঢুকে ফট করে মানুষের জান রিমুভ করে দেয়—এটা সবার জানা। কিন্তু সে রাম থেকে শ্যামের দেহে, যদু থেকে মধুর গতরে মুভ করে কোন কায়দায়, তা আজও অজানা। গোড়ার দিকে, মানে গেলবার শীতের মধ্যে ভাইরাসটির উদ্ভব ও উল্লম্ফনকালে দুটি তথ্য খুব চাউর হলো। এক. এই ভাইরাস ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রায় বাঁচে না, মানে গরম পড়লে আর তার রেহাই নেই। দুই. এটি ছোঁয়াছুঁয়িভিত্তিক ছোঁয়াচে রোগ। করোনাগ্রস্ত একজনের গতরের সঙ্গে করোনাহীন অপরজনের গা ঘষা খেলে সেই ঘষার মধ্য দিয়ে সে মুভ করে। এ ছাড়া কথা বলার সময় খালি চোখে দেখা যায় না—এমন সূক্ষ্ম থুতুকণিকা বা ড্রপলেট করোনাগ্রস্ত অমুকের মুখ থেকে লাফিয়ে সুস্থ তমুকের নাকে, মুখে, চোখে লাগলে সে–ও ভাইরাসটির খপ্পরে পড়ে। ড্রপলেট ওজনদার জিনিস এবং তা বাতাসে ভেসে উড়ে উড়ে ফ্লাইং মুডে মুভ করতে পারে না; মাটিতে পড়ে যায়। তবে কথা বলার সময় ড্রপলেট মুখ থেকে লাফ মারে। সেই লাফানোর ‘দৌড়’ ছয় থেকে সাত ফুটের বেশি না। মাস্ক পরলে ড্রপলেট মুখ থেকে লাফ দিতে পারে না। পারলেও ছয় ফুটের বেশি না। ফলে ছয় ফুট দূরে থেকে কথা চালালে এই ভাইরাসের মুভমেন্টের ঝুঁকি কম।

এই দুই হাইপোথিসিস মাথায় রেখে গেলবার শীতের কাঁথা গায়ে আমরা গরমের অপেক্ষায় থেকেছিলাম এবং মুখে মাস্ক, হাতে পলিথিনের দস্তানা, পায়ে জুতো পরাসহ পুরো শরীর ঢেকে সামাজিক দূরত্ব রাখার চেষ্টা করেছিলাম। পরে দেখা গেল করোনা ইঁদুরের মতো। সে বরফেও আছে, মরুতেও আছে। জিন-পরির মতো জেনেটিক সুরত বদল করে সে বরফ পড়া সাইবেরিয়া থেকে ঠা ঠা গরম পড়া কুয়েত, কাতারে সমানতালে মুভ করতে লাগল।

এখন মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট–এর সর্বশেষ পর্যালোচনা বলছে, এই ভাইরাস বাতাসে ভর করে ছড়ায়। এটি যে একটি বায়ুবাহিত রোগ, তার পক্ষে তারা ‘ধারাবাহিক ও দৃঢ়’ প্রমাণ পেয়েছে। তারা বলছে, জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো যদি এটিকে বায়ুবাহিত ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে কপালে আরও দুঃখ আছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। তার মানে আমাদের আগের সেই ছয় ফুট দীর্ঘ সামাজিক দূরত্ব আর মাস্কের ব্যবহার দিয়ে বাতাসবাহিত জীবাণু আটকানোর ধারণা এখন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। এটি যদি বায়ুবাহিত ভাইরাস বলে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে বায়ুশূন্য কাচের ঘরে লখিন্দর হয়ে বসে থাকা ছাড়া সংক্রমণ এড়ানোর আর কোনো উপায় থাকবে না।

প্রথম ঢেউয়ের সময় যে ভয়ডর মানুষের মধ্যে ছিল, তা এবার নেই। গতবার মানুষ নিজ থেকেই ঘর থেকে বের হয়নি। গরিব ও সংকটে পড়া মধ্যবিত্তের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও বহু সংগঠন তখন তৎপর ছিল। কিন্তু এবার তারাও মাঠে নেই। এবার সংক্রমণ হচ্ছে বেশি, মানুষ মরছে বেশি। কিন্তু পাবলিক, বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও দিনমজুরশ্রেণি এবার আর ঘরে থাকতে চাইছে না।

অফিসে না গিয়েও মাস শেষে পুরো বেতনের নিশ্চয়তা পাওয়া সরকারি চাকুরেদের ‘লকডাউন’ শব্দটা ঘরের মধ্যে বনভোজনের অনুভূতি দিতে পারে। কিন্তু দিনমজুর ও ব্যবসায়ীদের কাছে তা বিষাক্ত মারণাস্ত্র। এ কারণে লুকোচুরির মুভমেন্ট পাস তুলে দেওয়াই ভালো।

Source ::_____________________________________
● সারফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক

|| শক্তি বাড়াতে দুধের সঙ্গে ঘি ||

অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরির কারণে অনেকেই ঘি খেতে চান না। ঘি খেলে নাকি মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও যাদের হাই ব্লাডপ্রেসার বা কোলেস্টেরল রয়েছে তারা ঘি খায় না। নিয়ে নানা মত বাজারে প্রচলিত। কিন্তু ঘি আর দুধ যদি একসঙ্গে খাওয়া যায়?

চিকিৎসকদের মতে, দুধের সঙ্গে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিভিন্ন উপায়ে উপকারী। এটি কেবল বিপাকের উন্নতিই করে না, বাড়তি স্ট্যামিনার পাশাপাশি জয়েন্টে ব্যথাতেও উপশম করে। ঘিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যেমন পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। এতে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি এবং ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। তাই ঘি একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়।

. স্ট্যামিনা বাড়িয়ে দেয়

প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে এক কাপ দুধ খান। অথবা গরম ভাতে ঘি খান। ওটস বানালে তাতে অল্প ঘি দিন। ক্লান্তি দূর হবে।

. জয়েন্টে ব্যথা উপশম করে

আপনার খাদ্য তালিকায় দুধ ঘি রাখুন। যাদের দুধে সমস্যা তারা ল্যাকটোজ ফ্রি দুধ খেতে পারেন। জয়েন্ট পেইন অবশ্যই কমবে। আপনি যদি জয়েন্টের ব্যথাতে ভোগেন তবে তা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে দুধ এবং ঘি খাওয়া শুরু করতে পারেন। ঘি জয়েন্টগুলি লুব্রিকেট করে এবং প্রদাহ দূর করে, দুধ হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। জয়েন্টে ব্যথার ক্ষেত্রে এক গ্লাস দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পান করুন।

. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে

হজমের নানারকম সমস্যায় সকলে ভুগে থাকেন। দুধ আর ঘি একসঙ্গে খেলে সেই কঠিন এনজাইমকে ভেঙে সহজপাচ্য এনজাইমে পরিণত করে। এমন নয় যে দুধে ঘি মিশিয়ে খাবেন। খাদ্য তালিকায় এই দুই রাখুন। দুধে ঘি মিশিয়ে পান করলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বা হজম শক্তি দুর্বল হয় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন দুধে ঘি মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি মজবুত হয়।

. মেটাবলিজম ঠিক রাখে

ঘি এবং দুধ মানবদেহে মেটাবলিজম ঠিক রাখে এবং শরীরে এনার্জি দেয়। ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। ঘি এবং দুধের সংমিশ্রণ শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং বিপাক উন্নত করে। এছাড়াও এটি শরীরকে ডিটক্সাইফাই করে এবং সমস্ত টক্সিন বের করে দেয়।

|||| Source ::  ইত্তেফাক/এনএসএন ||||